আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে

ভাব-সম্প্রসারণ : কাজ দিয়েই মানুষের মূল্যায়ন হয়, তার পরিচিতি তৈরি হয়। বড় বড় কথার সাথে কাজের মিল না থাকলে তাকে কেউ পছন্দ করে না।

আমাদের দেশের মানুষ কথার রাজা, কাজের রাজা নয়। তার মানে এই নয় যে, তারা কাজ করে না। তবে কাজের চেয়ে কথা বলে বেশি। সেসব কথায় থাকে চমক, অতিরঞ্জন, আলাদা আকর্ষণ। বাহবা পাওয়ার মতো এসব বড় বড় কথা কেবলই কথার ফুলঝুরি। নিন্দা, সমালোচনা, গিবতসহ এসব কথায় আরও থাকে নিজের ক্ষমতার বাইরে মিথ্যা বাহাদুরি। ফলে তা পরিবার, সমাজ তথা সভ্যতার উন্নতিতে কোনো ভূমিকা রাখে না। বরং তাতে সমাজের ক্ষতি হয়, বিভ্রান্তি বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। অলস, অকেজোভাবে সময় নষ্ট ছাড়া এসব আড্ডা কোনো কাজে আসে না। একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে অর্থাৎ প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশগুলো তাদের পরিচিতি বিশ্ব সমাজে তুলে ধরছে, প্রশংসিত হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশের ফাঁকিবাজ, আড্ডাবাজ, অলস-অকর্মণ্য মানুষ কেবল বড় বড় কথায় রাজা-উজির মারে আর ভিক্ষুকের মতো উন্নত দেশের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। এটা কোনো স্বাধীন দেশের মানুষের জন্য, শিক্ষিত-সচেতন মানুষের জন্য ইতিবাচক নয়, বরং চরম অপমানজনক। এ হীন অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য আমাদেরকে প্রতিমুহূর্তে মেনে চলতে হবে- কথা কম, কাজ বেশি। আর সে কাজ হবে নিজের ভালোর জন্য, সমাজ ও দেশের ভালোর জন্য। উদ্যোগী হয়ে কাজ তৈরি করতে হবে যাতে দেশ ও মানুষের কল্যাণ হয়।

বড় বড় কথা বাদ দিয়ে কাজ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদেরকে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলেই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।