• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে

পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে

ভাব-সম্প্রসারণ: মানবসভ্যতার ইতিহাস বলে, মানব সম্প্রদায়ের পদচারণাই নতুন নতুন পথের জন্ম দিয়েছে। আগে থেকে কোনো পথ সৃষ্ট হয়ে থাকেনি; বরং সৃষ্টিশীল মানুষ তার জীবনের গতি অক্ষুণ্ণ রাখতে নব নব পথের জন্ম দিয়েছে। ফলে পথ সৃষ্টি হয়েছে পথিকের মাধ্যমে।

মানুষ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পদচিহ্ন রাখতে রাখতে এক সময় সৃষ্টি হয় পথের। পথ তৈরির ক্ষেত্রে পথের কোনো ভূমিকা থাকে না, মানুষেরই ভূমিকা। কারণ পথ তৈরিতে ষোলো আনা কৃতিত্ব মানুষের, পথের নয়। পৃথিবীর জমিনে পথিক তার প্রয়োজনেই পথ সৃষ্টি করে নেয়। অর্থাৎ, পথকে আবিষ্কার করে। তেমনি পৃথিবীর যাবতীয় আবিষ্কার মানুষেরই, পূর্বে উপাদান হিসেবে ছিল কিন্তু মানুষ তার নিজস্ব প্রয়োজনে করেছে সৃষ্টি, করেছে আবিষ্কার। পথ যেমন একদিনে সৃষ্টি হয় না, শত মানুষের প্রয়োজনে বারবার পদচারণা করতে করতে যেমন সৃষ্টি হয় পথের, তেমনি বহু মানুষের শ্রম, মেধা ও চেষ্টায় সৃষ্টি হয় নতুন নতুন উপাদান, প্রয়োজনীয় আবিষ্কার। মানুষ তার প্রয়োজনে শ্বাপদসংকুল বন্ধুর জমিনকে কেটে কেটে গড়ে তুলেছে পথ, সে পথ বেয়ে এসেছে নগর সভ্যতা। তেমনি শ্রম, কর্তব্যনিষ্ঠা ও চেষ্টায় মানুষ গড়ে তুলেছে সুখ-সমৃদ্ধ সভ্য জীবন। মানুষ যখনই কোনো সংকটে পড়েছে, তখনই মানুষের মনন ও শ্রম দিয়ে তা সমাধানের পথ বের করেছে। পথ বা উপায় কখনো এমনিতে সৃষ্টি হয়নি বা সুলভে মানুষের হাতে এসে ধরা দেয়নি। মানুষকেই আগে পা বাড়াতে হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে উপায়। সুতরাং পথিক অগ্রগামী, পথ অনুগামী।

প্রয়োজনে মানুষ পথ সৃষ্টি করে। গন্তব্য নির্ধারিত হলে সেখানে পৌঁছতেই আমরা নতুন পথ আবিষ্কার করি। তাই বলা হয়েছে, "পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ