• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে

ভাব-সম্প্রসারণ: অন্যায় জগতে বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা ডেকে আনে। তাই অন্যায় করা যেমন উচিত নয়, তেমনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়াও সমীচীন নয়।

অন্যায়কারী ও অন্যায়ে সাহায্যকারী বা সহ্যকারী উভয়েই সমান দোষী। মানুষের যেমন মানুষ হিসেবে কতকগুলো অধিকার আছে তেমনি মানুষ হিসেবে তার কতকগুলো দায়িত্বও রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই অধিকার অর্জিত হয়। দুই-ই মনুষ্যত্বের অপরিহার্য অঙ্গ। অন্যায় না করা ও অন্যায় না সহা, এ দুটিই মনুষ্যত্বের দায়িত্ব। ক্ষমা মহৎ গুণ হলেও সব ধরনের অন্যায়ের ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন সমীচীন নয়। কারণ অন্যায়কারীর উপযুক্ত বিচার না হলে সমাজে অন্যায কাজের প্রভাব বেড়ে গিয়ে সমাজকে অপরাধের আখড়ায় পরিণত করবে। ফলে সমাজ হয়ে উঠবে অন্যায়, অপরাধের লীলাক্ষেত্র এবং মনুষ্য বসবাসের অনুপযোগী। তাই সর্বজনীন কল্যাণ নিশ্চিত করার স্বার্থে অন্যায়কারীকে সাজা দেওয়া উচিত। কোনো অবস্থাতেই বিনা বিচারে তাকে ক্ষমা করা উচিত নয়। ক্ষমা দুর্বলতার পরিচায়ক, অন্যায়ের শামিল, অনুরূপ ক্ষমা বাঞ্ছনীয় নয়। তাই যে অন্যায় করে এবং যে তা সহ্য করে উভয়েই ঘৃণাযোগ্য। প্রতিবাদ, প্রতিরোধের মাধ্যয়ে অন্যায়কে রুখতে হবে। তবেই সমাজে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে। অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী উভয়কে তাই শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। অন্যায়ের প্রতিকার করতে শুধু অন্যায়কারীকে শাস্তি দিলেই হবে না। তাকে প্ররোচনাকারী ও অন্যায় সহাকারী সকলকেই একই সাথে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।

অন্যায় না করলে এবং অন্যায়কে সহ্য না করলে এ জগৎ-সংসার হয়ে উঠবে সুখী, সুন্দর ও আনন্দময়। তাই আমাদের উচিত অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা এবং অন্যায়কে সহ্য না করা।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ