• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী 'পরে, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী 'পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

অথবা, পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও
তার চেয়ে সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও

ভাব-সম্প্রসারণ: অপরের স্বার্থে ব্যক্তিস্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার মধ্যেই স্বর্গীয় সুখ ও আত্মতৃপ্তি লুক্কায়িত। পরের সুখ রক্ষায় নিজের সুখ বিসর্জন দেওয়াই মানবতার ধর্ম।

পৃথিবীতে এককভাবে কেউ আমরা পরিপূর্ণ নই। প্রত্যেক মানুষ পরস্পর নির্ভরশীল। জীবনকে গতিময়, সুন্দর ও সার্থক করে গড়ে তোলার জন্য অপরের সাহায্য অপরিহার্য। কিন্তু অনেকের কাছে ব্যক্তিস্বার্থই সবার উর্ধ্বে। অন্যের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে তারা চান না। অথচ মানুষ সামাজিক জীব, সকলের মঙ্গল পরস্পর অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এ পৃথিবীতে মহৎ ও সজ্জন ব্যক্তিরা সদা পরহিতে আত্মদান করে গেছেন। এভাবেই তাঁরা হয়েছেন স্মরণীয় ও বরণীয়। যদি অপরের সুখ-দুঃখের কথা চিন্তা না করে মানুষ কেবল নিজের সুখ-সুবিধার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করে তবে কারও মঙ্গল হতে পারে না। অপরের মঙ্গল করার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। ত্যাগই আজ পৃথিবীকে এমন সুন্দর ও সুখের করে তুলেছে। এ পৃথিবীতে প্রত্যেক মহৎ ব্যক্তিই পরের উপকারের জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। বস্তুত অন্যের মঙ্গল কামনার মধ্যে নিজেরও কল্যাণ নিহিত। আমি যদি অন্যের মঙ্গল চাই, সেও আমার মঙ্গল চাইবে। এভাবে পারস্পরিক সহমর্মিতা দ্বারা আমরা শান্তির পৃথিবী গড়তে পারি। অপরের হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার শরিক হওয়াই তো মনুষ্যত্বের পরিচয় এবং এতেই পাওয়া যায় নিবিড় আনন্দ। পরার্থে জীবনকে বিলিয়ে দিলেই কেবল জীবনের পূর্ণতা আসে; জীবন সার্থক, সুন্দর এবং খাঁটি হয়।

পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার মাধ্যমে মানবজীবন সার্থকতায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। পূর্ণতা পায় সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের নৈতিক অবকাঠামো, তৃপ্তিতে ভরে যায় মানবমন।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ