• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো

স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো

ভাব-সম্প্রসারণ: শত্রু স্পষ্টভাষী হলে সতর্ক হওয়া যায় কিন্তু বন্ধু নির্বাক হলে তা সমূহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়!

শত্রু বলতে আমরা প্রতিপক্ষকে এবং মিত্র বলতে বন্ধুকে বুঝি। বন্ধু তো একনিষ্ঠ সুহৃদকেই বলা যায়। যে আসনে বসনে, শ্মশানে মশানে সাথি হয়, সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বিপদে সহমর্মী, সহগামী, সমব্যথী হয়, তাকে মিত্র বলা যায়। শত্রুকে চেনা কষ্টকর বটে। কখন শত্রুতা করে বসে তা জানাও বড় সহজ নয়। কিন্তু যে শত্রু স্পষ্টভাষী, খোলাখুলি, বলে-কয়ে শত্রুতা করে তাকে চিনতে কষ্ট হয় না। তার শত্রুতার প্রতিরোধ করতে পারা যায়। বন্ধু যদি নির্বাক থাকে অর্থাৎ কোনো সৎ পরামর্শ বা সুবুদ্ধি দান না করে, তাহলে সে বন্ধু জীবনের কোনো মঙ্গলজনক কাজে লাগে না। স্পষ্টভাষী শত্রু দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে অন্যের দোষত্রুটি বলে দেয়। সে কারও দোষত্রুটি এড়িয়ে যায় না। ফলশ্রুতিতে শত্রুর বক্র সমালোচনায় নিজেকে সংশোধন করার সুযোগ পায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই নিন্দুককে সবার চেয়ে বেশি ভালোবাসেন, তাকে যুগজনমের বন্ধু ও আঁধার ঘরের আলো হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

স্পষ্টবাদিতাই সব সমস্যার সমাধান আনতে পারে। কিন্তু ধোঁয়াশার মাঝে বিচরণ করে সমস্যার সমাধান হয় না। উপরন্তু সমস্যার পাল্লা ভারী হয়। এজন্যই বলা হয়েছে যে, স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালো।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ