- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতিস্বরূপ
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতিস্বরূপ
ছাড়া তা অর্জন অসম্ভব। শ্রমই মানুষের জীবনে ভাব-সম্প্রসারণ: প্রত্যেক মানুষেরই সৌভাগ্য কাম্য, কিন্তু পরিশ্রম সৌভাগ্যের জয়চিহ্ন এঁকে দেয়। তাই পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।
পরিশ্রম সাধনায় সিদ্ধি এনে দেয়। বিদ্যার্থী যথারীতি পরিশ্রম করে যেমন বিদ্যা অর্জন করে, তেমনি ধন-মান ইত্যাদিও অর্জন করতে পারে। মানবজীবন সংগ্রামের জীবন'। সেই সংগ্রামে টিকে থাকতে হলে, জয়লাভ করতে হলে, পরিশ্রমকে প্রধান হাতিয়াররূপে বরণ করে নিয়ে সেই পথে অগ্রসর হতে হবে। এই কর্মময় সংসারে ভাগ্য বলে কোনো অলীক সোনার হরিণের সন্ধান অদ্যাবধি মেলেনি। বাহ্যদৃষ্টিতে মানুষ যাকে ভাগ্যদেবী নামে অভিহিত করে, তা মূলত মানুষের প্রাণান্ত প্রচেষ্টারই ফসল। মানুষ নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত ত্যাগ স্বীকারের বদৌলতে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি অর্জন করে। কর্মবিমুখ ব্যক্তি অলস চিন্তার প্রশ্রয়ে যা কিছু চিন্তাভাবনা করে তা আকাশ-কুসুম রচনার মতোই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। মানব ইতিহাস থেকে প্রমাণ মেলে যে, সৃষ্টির প্রারম্ভিক স্তরে অসহায় মানুষ যখন হিংস্র প্রাণীর উপদ্রব ও বৈরী প্রকৃতির নির্মমতার হাত থেকে আত্মরক্ষার *জন্য বুকফাটা আর্তনাদ শুরু করেছিল তখন মানুষই একে অন্যের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় বৈরী প্রকৃতির সাথে নিরলস সংগ্রাম করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।
পরিশ্রমের দ্বারাই প্রত্যেক মানুষের জীবনে উন্নতি আসে। শ্রমহীন অলস ব্যক্তির জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কাজেই পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতিস্বরূপ।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

