- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে
ভাব-সম্প্রসারণ: প্রচুর সম্পদের অধিকারী হয়ে বিলাসী জীবনযাপন করলেই ধনের অধিকারী বলে গণ্য হওয়া যায় না। পরোপকার, অন্যের মঙ্গল করার শক্তি সাহস যার আছে, সেই প্রকৃত ধনের অধিকারী।
সাধারণভাবে বলা যায়, যে ধনসম্পদ সকলের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে লাগে সে ধনই প্রকৃত সম্পদ। যা বিলাসব্যসনে ব্যয়িত হয়, অন্যের বা সমাজের উন্নয়নে লাগে না সে ধনের কোনো মূল্য নেই। ধনের সার্থকতা এর সদ্ব্যবহারে। সমাজে অর্থ উপার্জন অনেকেই করে। সেই অর্থ বিলাসব্যসনে ব্যয়ও করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে তা অর্থের অপব্যবহার মাত্র। বিলাসিতায় ব্যয়িত অর্থ বিশেষ খেয়াল চরিতার্থ করে বটে, কিন্তু এর দ্বারা বিন্দুমাত্র পরোপকার সাধিত হয় না। ধন দুস্থ মানবতার সেবায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারতা সাধনে, জগতে মঙ্গল করার শক্তি জোগায়। মঙ্গল করার শক্তির উৎস হিসেবে ধনের প্রয়োজন অপরিহার্য। শুধু নিজের আরাম-আয়েশের জন্য বা অন্য কোনো বিশেষ খেয়াল চরিতার্থ করার জন্য অর্থ ব্যয় করলে তা নিছক স্বার্থপরতা ছাড়া কিছুই নয়। কাজেই মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যয়িত অর্থই যথার্থ ধন। তবে প্রকৃত অর্থে সম্পদকে সুপরিকল্পিতভাবে সমাজের ও অর্থহীনদের জন্য ব্যয় করা খুবই কঠিন, অর্থ উপার্জন যত সহজ, এর সদ্ব্যবহার তত সহজ নয়। কেননা অর্থের সদ্ব্যবহারের সাথে মঙ্গল করার মানসিকতা জড়িত।
অপরের মঙ্গল কামনা না করলে, অপরের বিপদে সাহায্য না করলে সে প্রকৃত সম্পদের অহংকার করতে পারে না; বরং অর্থ তার জন্য অনর্থ ডেকে আনতে পারে। তাই বলা হয়- "মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে।"
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

