- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
স্বদেশের উপকারে নাই যার মন, কে বলে মানুষ তারে? পশু সেইজন
স্বদেশের উপকারে নাই যার মন
কে বলে মানুষ তারে? পশু সেইজন
ভাব-সম্প্রসারণ: স্বদেশ বলতে জন্মভূমি বা মাতৃভূমিকে বোঝায়। স্বদেশকে যে অবজ্ঞা করে সে কখনো প্রকৃত মানুষের মর্যাদা পায় না। স্বদেশের উপকারে যার মন নেই সে পশুর তুল্য।
দেশপ্রেম প্রত্যেক মানুষেরই একটি একান্ত অনুভূতি। প্রত্যেক মনীষীই জন্মভূমিকে সর্বাগ্রে ভালোবাসার স্থান দিয়েছেন। কোনো এক দেশপ্রেমিক বলেছেন, "জননী জন্ম-ভূমিশ্চ স্বর্গাদপী গরীয়সী।" অর্থাৎ, মা আর মাতৃভূমিকে স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। জন্মের পর থেকেই প্রত্যেক মানুষের মাঝে নিজের অজান্তেই দেশপ্রেম গড়ে ওঠে। কেননা শৈশব থেকেই প্রাণের সাথি হয়ে ওঠে জন্মভূমি। তাই প্রত্যেক মানুষের কাছেই জন্মভূমি অত্যন্ত প্রিয়। স্বদেশের উপকার বা দেশকে রক্ষা করার জন্যে কত লোক যে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন তার কোনো হিসাব নেই। দেশের জন্য জীবন দিয়ে মানুষ রিক্ত হন না; বরং তাঁরা হন ধন্য। তাঁরা কখনো মরেন না। শহিদ হয়ে অমর হয়ে থাকেন। যেমন- বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন রফিক, শফিক, বরকত, সালাম এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর শহিদেরা। দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করার মানসিকতা সবারই থাকা উচিত। স্বদেশের উপকার করতে গিয়ে মনের সংকীর্ণতা দূর করতে হবে। জন্মভূমির মঙ্গল মানুষমাত্রই অবশ্য করণীয়। স্বদেশের উপকার ও কল্যাণের জন্যে যার মন নেই সে ঘৃণ্য।
দেশপ্রেম সকল মহত্ত্বের উৎস, মনুষ্যত্বের প্রসূতি। যার মধ্যে দেশপ্রেম নেই, স্বদেশের হিতার্থে যে হিতাকাঙ্ক্ষী নয় সে পশুর চেয়েও অধম। তাকে দিয়ে কোনো মহৎ কাজ সাধিত হয় না। সে মানুষ নয়, পশু সমতুল্য। স্বদেশের সম্মান, স্বাধীনতা, কৃষ্টি, আচার, সভ্যতা ও ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিতে পারেন তাঁরাই দেশপ্রেমিক। কেননা স্বদেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

