- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
নিরক্ষরতা দুর্ভাগ্যের প্রসূতি
নিরক্ষরতা দুর্ভাগ্যের প্রসূতি
ভাব-সম্প্রসারণ: মানবজীবনের কঠিন অভিশাপের নাম নিরক্ষরতা। নিরক্ষরতাই মনুষ্যত্বের বিকাশ রুদ্ধ করে দেয়। সমাজ থেকে এ অভিশাপ হটাতে না পারলে থমকে যাবে সমাজের প্রগতিশীল বিকাশ। মুখ থুবড়ে পড়বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা।
শিক্ষার আলো মানুষের জীবন থেকে সর্বপ্রকার অজ্ঞতা, অন্ধকার, ভ্রান্তি দূর করে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। নিরক্ষর মানুষ তো অন্ধ মানুষের মতোই। অন্ধকারের নর্দমায় পড়ে থাকে নিরক্ষর মানুষের জীবন। সমাজকে, দেশকে এবং জাতিকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যায় নিরক্ষরতার অভিশপ্ত ছায়া। এ যেন এক অন্ধ দানব। সবকিছু তছনছ করে দিতে চায়। অন্যদিকে অক্ষরজ্ঞান হলো আলোর জ্ঞান, ভালোর জ্ঞান। যে আলোয় আলোকিত করা যায় মানবজীবন। আলোকিত করা যায় দেশ, জাতি ও সমাজকে। সুতরাং নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে আমাদেরকে বাঁচতে হবে, নইলে আমরা হব দুর্ভাগ্যের শিকার। দেশ, জাতি এবং সমাজও এ থেকে রেহাই পাবে না।
দেশ, জাতি ও মানবসমাজকে দুর্ভাগ্যের হাত থেকে বাঁচাতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই নিরক্ষরতা দূর করতে হবে। নিরক্ষর মানুষ সমাজ ও জাতির কাছে অপাঙক্তেয়। জাতীয় জীবনে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও প্রগতির পথে এরা বাধাস্বরূপ। এই বাধা অপসারণের জন্য সবার সম্মিলিত চেষ্টা থাকা উচিত।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

