- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়- পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়-
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্সানো রুটি
ভাব-সম্প্রসারণ: কল্পনা আর বাস্তবতা এক নয়। কল্পনার জগতের মতো বাস্তবতার জগৎ সমান রঙিন নয়। পেট ভরা থাকলে অসুন্দরকেও সুন্দর করার কথা ভাবা যায়। কিন্তু খালি পেটের ক্ষুধাকাতর মানুষের কাছে পূর্ণিমার চাঁদও ঝলসানো রুটির মতো মনে হয় এবং খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।
সৃষ্টির শুরু থেকে খাওয়া, পরা ও থাকার জায়গার জন্য নানা কর্মতৎপরতা দেখা গেছে। সেই চেষ্টা আজও চলমান। এ সংগ্রামে জয়ীরাই শুধু প্রকৃতির রূপ-রস-রং ভোগ করতে সক্ষম। পূর্ণিমার চাঁদ তাদের কাছে প্রীতি ও সৌন্দর্যের প্রতীক। কবি-শিল্পীরা তাদের কর্মে প্রকৃতির এ প্রেমময় রূপ তুলে ধরেছেন। কিন্তু যখনই কবি-শিল্পীরা কিংবা অন্য কেউ ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হয়েছেন, ভাত-কাপড়-বাসস্থানের সমস্যায় পড়েছেন তখনই তাঁরা বলেছেন- 'পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।' তাদের মনে হয়েছে ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়। সমাজের একশ্রেণির মানুষ সম্পদের পাহাড় বানায়, ফলে অন্য শ্রেণি সেই পাহাড়ের চাপে পিষ্ট হয়। ক্ষুধায় সামান্য ভাত-রুটিও জোটে না তাদের। ঘুমানোর ঘরও থাকে না। অথচ বিত্তবানরা ঐশ্বর্যের পাহাড় চূড়ায় দামি কাপড় গায়ে দিয়ে উপভোগ করে ইংরেজি গান, শীতেও এসির বাতাসে ঘুমায়। আমরা জানি, মানুষ মানুষের জন্য। কিন্তু বুঝি না, মানুষে মানুষে এত বৈষম্য কেন? কেন এতে বেমানান কল্পনাবিলাস?
ক্ষুধার্ত মানুষের মনে সৌন্দর্যময় প্রকৃতি খুব একটা দাগ কাটতে পারে না। তাদের মনে থাকে ক্ষুধা-তৃষ্ণার মর্মান্তিক দাগ। এ দাগ মুছতে হলে চাঁদের সৌন্দর্য নয়, ফসলের সুষম বণ্টন প্রয়োজন।,
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

