- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- ভাব-সম্প্রসারণ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ভাব-সম্প্রসারণ
পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন, নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন
পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন
নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন
ভাব-সম্প্রসারণ: অন্যের ক্ষতি করার চিন্তাভাবনা করলে পরিণামে নিজেরই ক্ষতি সাধিত হয়। তাই পরের ক্ষতির চিন্তা থেকে দূরে থাকা সকলের কর্তব্য।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট সকল মানুষের যাবতীয় কর্মপ্রচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য হলো সুখে-শান্তিতে ও আরামে থাকা। এ দুনিয়ায় কত রকমের মানুষ দেখা যায়। কেউ নিজের সবকিছু দিয়ে, এমনকি প্রাণ দিয়েও পরের উপকার করে। আবার এমন লোকও আছে, যারা পরের ভালো তো করেই না, বরং কী করে সর্বনাশ করা যাবে সেই চিন্তায় সবসময় মশগুল থাকে। এ ধরনের মানুষ নেহাতই অমানুষ। তাদের অনিষ্ট আচরণে শুধু সেই নয়, সাথে ব্যক্তি ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পৃথিবীতে মহাপুরুষদের জীবনী পাঠে দেখা যায়, তাঁরা সমগ্র জীবন মানুষের কল্যাণ সাধনে বিলিয়ে দিয়েছেন। মহানবি হজরত মুহম্মদ (স)-এর চলার পথে এক বৃদ্ধা বিদ্বেষবশত প্রতিদিন কাঁটা বিছিয়ে রাখত। একদিন হজরত মুহম্মদ (স) তাঁর চলার পথে কাঁটা দেখতে না পেয়ে বুড়িকে দেখার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে পৌছেন এবং তার অসুখের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেন। এতে সেই বৃদ্ধা বিস্ময়ে বিমুগ্ধ হয়ে যায়। সে উপলব্ধি করতে পারে, পরের অনিষ্ট চিন্তা ও কাজের মধ্যে কোনো মঙ্গল নেই; বরং এরূপ পরের অনিষ্ট চিন্তা ও কাজ নিজের জন্য ধ্বংস ডেকে আনে। পরের অনিষ্ট করতে গিয়ে বহুলোক নিজেদের জীবনকেই ধ্বংস করেছে। এর বহু নজির ইতিহাসের পাতায় রয়েছে। এ বিচিত্র জগতে মানুষ ক্ষুদ্র স্বার্থোদ্ধারে এত অন্ধ হয়ে পড়ে যে, পরের মঙ্গল ও অনিষ্ট করতে গিয়ে স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি হারিয়ে ফেলে এবং পরিণামে নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনে।
কখনই অপরের কোনো অকল্যাণ চিন্তা করা উচিত নয়। এসব পরিহার করে বরং পরের স্বার্থে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে হবে। তবেই-জীবন সার্থক এবং সুন্দর হবে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

