• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?

তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?

ভাব-সম্প্রসারণ: ন্যায়-অন্যায় মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। কেউ একজন অন্যায় বা অমানবিক আচরণ করলে তা কখনই অন্যের আদর্শ হওয়া উচিত নয় বরং তা পরিত্যাগ করে প্রকৃত সত্যকে উদ্‌ঘাটন করে সত্য পথে চলাই মানুষের কর্তব্য।

মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ তার বিবেক-মনুষ্যত্ব দিয়ে। প্রত্যেক মানুষের ভেতরে পশুবৃত্তি থাকে। এ পশুবৃত্তির কারণে মানুষ সজ্ঞানে অথবা অজ্ঞানে বিবেকবর্জিত হয়। সমাজজীবনে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। এ ধরনের কাজ সমাজের সকলেই করে না, যারা করে তারা অধম। তারা স্বার্থান্বেষী। নিজের স্বার্থরক্ষায় তারা সবকিছু করতে প্রস্তুত। আমাদের সমাজজীবনে এ রকম লোকের অভাব নেই। উদাহরণ হিসেবে ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের মীরজাফর কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা স্বজাতির স্বার্থ ভুলে হানাদারদের সাহায্য করেছে, তাদের কথা উল্লেখ করা যায়। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে এমন বহু লোকই রয়েছে যারা মানবতার লঙ্ঘন করেছে। তারা কেউ কেউ লাভবানও হয়েছে। এ লাভ দেখে আমরা যদি তাদের ভুল পথকে বা অন্যায় পথকে আদর্শ হিসেবে বেছে নিই, তবে আর আমরা মানুষ হিসেবে যে শ্রেষ্ঠ সে কথার মূল্য রইল না। তাই মানুষ যেহেতু বিবেকসম্পন্ন জীব, যেহেতু মনুষ্যত্বের কারণেই মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ; সেহেতু মানুষকে যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে বিবেকবান হতে হবে। অন্যের অন্যায় পথ বর্জন করে ন্যায়পথকে জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

যুগে যুগে স্বার্থপর মানুষ নিজ স্বার্থে বিপথগামী হয়েছে, নীতি বিবর্জিত হয়ে গর্হিত কাজ করেছে, তাই বলে তা অন্যের অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে না। বরং প্রত্যেক মানুষের সত্য পথ বেছে নিয়ে পথ চলা কর্তব্য।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ