• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত বাঁচিবার অধিকার তাহারই

প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত বাঁচিবার অধিকার তাহারই

ভাব-সম্প্রসারণ: প্রয়োজনে যাঁরা আত্মোৎসর্গ করতে পারেন, বেঁচে থাকার অধিকার কেবল তাঁদের। স্বার্থপর, কাপুরুষ, ভীরুদের বেঁচে থাকা অর্থহীন, কারণ তারা জীবনের স্বাদ আস্বাদনে ব্যর্থ।

মরণকে হাসিমুখে বরণ করার সাহস থাকার মাঝেই জীবনের সফলতা নির্ভর করে। মৃত্যুভয়ে ভীত যে ব্যক্তি সবসময় চিন্তিত থাকে, তার পক্ষে জীবনের সৌন্দর্য ও আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব নয়। জীবনকে যদি সংকীর্ণ সীমানায় আটকে রাখার চেষ্টা করা হয় তাহলে জীবন বিকশিত হতে পারে না, জীবনের তখন কোনো অর্থ থাকে না। মরণ আছে বলে সারাক্ষণ মৃত্যুর জল্পনা-কল্পনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে কিংবা মরণের ভীতিতে আর্ত-আহাজারি জুড়ে দিতে হবে- এমন ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক। কারণ পরপারের ডাক এলে সে ডাকে সাড়া না দিয়ে থাকার উপায় কারও নেই। অতএব, মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে সব বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে পারলেই জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য আসে। তাই জীবনের স্বরূপ জানতে হলে, জীবনের চূড়ান্ত বিজয় দেখতে হলে মৃত্যুভীতিকে সযত্নে পরিহার করে জীবনসংগ্রামে লেগে যেতে হবে। কথায় বলে বীরেরা মরে একবার, আর ভীরুরা মরে বারবার। তাই বারবার না মরে একবার মরার জন্য প্রস্তুত থাকলেই স্বাভাবিকভাবে সব কাজকর্ম করা যায়। মৃত্যুভীতিকে বর্জন করতে পারলে এবং হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্কান করতে শিখলেই জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়। সাহসী বীরেরাই বাঁচার মতো বাঁচতে পারেন। ভবিষ্যৎ বংশধরদের কাছে এঁরা হন প্রেরণার উৎস। দেশের প্রয়োজনে এ ধরনের সোনার ছেলেরাই সর্বপ্রথম বুক ফুলিয়ে এগিয়ে আসেন। তাঁরা মানুষের হৃদয়ে চিরদিন বাঁচার অধিকার পেয়ে যান মহৎ কর্মগুণে।.

যাঁরা মৃত্যু ভয়ে ভীত না হয়ে জীবনযুদ্ধে সংগ্রামী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাঁরাই পৃথিবীর বুকে, মানবমনে চিরজাগ্রত ও অমর হয়ে আছেন।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ