• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

শৈবাল দিঘিরে বলে উঁচু করি শির, লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির

শৈবাল দিঘিরে বলে উঁচু করি শির

লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির

ভাব-সম্প্রসারণ: অকৃতজ্ঞরা চিরকালই কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে অহংকারবোধ করে।

শৈবাল এক প্রকারের জলজ উদ্ভিদ। দিঘির অথৈ জলে এর জন্ম ও পরিবৃদ্ধি হয়। দিঘি থেকেই এটি আহার্য সংগ্রহ করে। মোটকথা এর অস্তিত্ব দিঘির ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং দিঘির প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থাকা শৈবালের নৈতিক দায়িত্ব। পরনির্ভরশীল শৈবালের গায়ে কিছু শিশির বিন্দু জমা হয় এবং বায়ুতাড়িত হয়ে সে শিশির বিন্দু গড়িয়ে পড়ে দিঘির জলে। সাথে সাথে নির্লজ্জের মতো সদন্তে সে দিঘির দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যাপারটি স্মরণ রাখার জন্য ইঙ্গিত দিল। আশ্চর্যই বটে। দিঘির জলে যার জন্ম, স্থিতি ও লয়, তারই নাকি এমন দন্ড, এত ঔদ্ধত্য এক ফোঁটা জল দান করেছে বলে। পৃথিবীতে শৈবালের মতো একশ্রেণির মানুষ আছে যারা পরের অনুগ্রহের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে অথচ ঋণ স্বীকার করে না। উপরন্তু কোনো কারণে যদি একটু কিছু উপকার করতে পারে বা তাদের মারফত কোনো উপকারের ফল অন্য কোথাও থেকে আসে, তাহলে তারা তা সরবে প্রকাশ করে। পরের খেয়ে-পরে বেঁচে থেকে পরের ওপর বাহাদুরি দেখাতে তারা লজ্জাবোধ করে না। এ ধরনের লোক অহংকারী ও অকৃতজ্ঞ। তাদের অহংকার আকাশছোঁয়া, আত্মপ্রচারে মোহগ্রস্ত হয়ে তারা নিজের ঢাক নিজে পেটায়। অথচ তাদের সামান্য দানে পৃথিবীর কোনো উপকারই হয় 'না। প্রত্যেকেরই উচিত যার দ্বারা সে কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হয় তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। কেননা অকৃতজ্ঞ লোকদের স্বয়ং আল্লাহও পছন্দ করেন না।

অকৃতজ্ঞরা নুন খায় কিন্তু গুণ গায় না। তাই তো সমাজ থেকে উপকার করার মানসিকতা উঠে যাচ্ছে। একথা প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত, কৃতজ্ঞতাই পরম ধর্ম।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ