• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • ভাব-সম্প্রসারণ
ভাব-সম্প্রসারণ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ভাব-সম্প্রসারণ

বিশ্বের যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর

বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।

ভাব-সম্প্রসারণ: মানব-সভ্যতা বিকাশে নারী ও পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি। সৃষ্টিকর্তা নারী ও পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে। তাই নারী ও পুরুষ চিরকালের সার্থক সঙ্গী। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সৃষ্টির আদিকাল থেকে নারী পুরুষকে জুগিয়েছে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস। আর পুরুষ বীরের মতো সব কাজে অর্জন করেছে সাফল্য। আজ পর্যন্ত বিশ্বে যত অভিযান সংঘটিত হয়েছে, তার অন্তরালে নারীর ভূমিকাই মুখ্য। সঙ্গত কারণেই নারী ও পুরুষের কার্যক্ষেত্রে ভিন্নতা আছে। তবুও নারী যেমন পুরুষের ওপর নির্ভরশীল, পুরুষও তেমনি নারীর মুখাপেক্ষী। নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের জীবন অসম্পূর্ণ, অর্থহীন। নারী ও পুরুষের পারস্পারিক সহযোগিতার মধ্যেই রয়েছে জগতের সমস্ত কল্যাণ। উভয়ের দানে পুষ্ট হয়েছে আমাদের পৃথিবী।

বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।

ভাব-সম্প্রসারণ: মানবসভ্যতার ইতিহাস বলে, আদিকাল থেকে আজকের যে সভ্যতা তাতে নারী-পুরুষের সমান অবদান রয়েছে। নারী-পুরুষের সম্মিলিত কর্মপ্রচেষ্টাতেই সভ্যতা সূচিত হয়েছে।

নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে সমাজব্যবস্থা। সুতরাং সমাজে নারী ও পুরুষের অবদান সমভাবে বিদ্যমান। এ পৃথিবীতে নর ও নারী একে অপরের পরিপূরক সত্তা। বর্তমান বিশ্বে নারীরাও পুরুষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। নারীরা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে তাদের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালন করছে। নারীদের কর্মস্থল শুধু রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ নয়; বরং সমাজের সকল অঙ্গনে পরিব্যাপ্ত।

ইসলাম ধর্ম সমাজে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে এবং শিক্ষার অধিকারসহ সকল অধিকার দান করেছে- "প্রত্যেক নর-নারীর বিদ্যা অর্জন করা ফরজ।" অন্ধকার যুগে নারীদের কোনো মর্যাদা দেওয়া হতো না। সে যুগে নারীরা দাসী ছিল এবং ন্যায্য অধিকার হতে তাদের বঞ্চিত করে রাখত। তখনও নারীরা পরিবার ও সমাজ নির্মাণে নিজেদের শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছে, কিন্তু স্বীকৃতি পায়নি। এখন সারাবিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও কঠিন কর্তব্য পালন করতে হয়। সর্বক্ষেত্রে তারা দক্ষতার ছাপ রাখছে। শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য, রাজনীতি-অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিচার ও আইন, ব্যবসায় ও শিল্প, প্রশাসন সর্বক্ষেত্রে আজ নারীরা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে, জাতীয় জীবনে অবদান রাখছে, প্রশংসিত হচ্ছে। এছাড়া সংসারে সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নতির ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই।

নারী ও পুরুষের সম্মিলিত কর্মপ্রচেষ্টায় সৃষ্ট এ সমাজের উন্নতি এবং প্রগতির জন্য নারীরা সমান অংশীদার। তাই যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজে নারীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ